তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মীদের সংগঠন 'ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট'-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, অবৈধভাবেভাবে কর্মীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে জোর করে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস। গোটা দেশ জুড়ি ছড়িয়ে থাকা সংস্থার একাধিক দফতরে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন। মাস দুয়েক আগে বদলির নোটিস দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিল এই সংস্থা। আচমকা একগুচ্ছ কর্মীকে বদলির নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এবার অভিযোগ, শতাধিক কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আচমকা। এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে কর্মী সংগঠনগুলি। এইভাবে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হলে কর্মীরা কতটা সমস্যায় পড়তে পারে, তাঁদের পরিবার কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে কর্মী সংগঠন। তবে টিসিএস-এর তরফে এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মীদের সংগঠন ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট’-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, অবৈধভাবেভাবে কর্মীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জোর করে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা মানতে না চাওয়ায়, বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৯০০ কর্মীর। সংগঠনের দাবি, সংস্থা চাপ দিচ্ছে যাতে কর্মীরা বদলির নির্দেশ মেনে নেন অথবা চাকরি ছেড়ে দেন। এর ফলে কর্মীদের পরিবারের ওপর প্রভাব পড়ছে, মানসিক চাপ বাড়ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর তরফে বেশ কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অনেকেই জানিয়েছেন, যে জায়গায় বদলির নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে কোনও প্রজেক্টই নেই। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে তাঁদের মাত্র ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সংস্থার পোর্টালে একটি টাইম শিট পূরণ করতে পারেননি। ওই পোর্টাল আর ব্যবহার করতে পারছেন না বলেও দাবি ওই কর্মীদের।
এক কর্মী জানিয়েছেন, সংস্থার তরফ থেকে তাঁদের একটি ইমেল পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, বদলির নির্দেশ মেনে ১৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট করার কথা ছিল। তা করা হয়নি বলেই বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।