৫, ৭, ১০, ১২ অথবা ১৫ বছরে কি কোটিপতি হওয়া সম্ভব?
অনেকেই কোটিপতি হতে চান। কোটি কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করতে চাইলেও সেই স্বপ্ন অনেক সময় অধরাই থেকে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ৫, ৭, ১০, ১২ অথবা ১৫ বছরে কি কোটিপতি হওয়া সম্ভব?
এই প্রশ্নের জবাবে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দীর্ঘমেয়াদে সিস্টেমেটিক ইনভেস্ট প্ল্যান বা এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে এই সুবিধা লাভ করা যায়। কারণ এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পেয়ে থাকেন।
ফান্ডসইন্ডিয়া রিসার্চ এমএফআই-এর তথ্য বলছে, ১০০০০ টাকার এসআইপি করলে ২০ বছরে আরামসে কোটিপতি হতে পারবেন বিনিয়োগকারী। আবার সেরকম ভাবে ১৫ বছরের জন্য ২০০০০ টাকার এসআইপি, ১৩ বছরের জন্য ২৫০০০ টাকার এসআইপি এবং ১২ বছরের বেশি সময়ের জন্য ৩০০০০ টাকার এসআইপি বিনিয়োগকারীর কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
আবার কোনও রকম অ্যানুয়াল স্টেপ-আপ ছাড়াই ৪০০০০ টাকার মাসিক এসআইপি-র হাত ধরে ১০ বছরের বেশি সময়ে কোটিপতি হতে পারবেন বিনিয়োগকারী। আবার ৫০০০০ টাকার মাসিক এসআইপি বিনিয়োগকারীকে প্রায় ৯ বছরে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে। আবার ৭৫০০০ টাকার মাসিক এসআইপি-র মাধ্যমে মাত্র ৭ বছরেই বিনিয়োগকারী কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন।
মিউচুয়াল ফান্ড এসআইপি রিটার্নের প্রসঙ্গে ট্রানসেন্ড কনসালট্যান্টস-এর ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর কার্তিক ঝাভেরি বলেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য একজন বিনিয়োগকারী এসআইপি থেকে ১২-১৬ শতাংশ রিটার্ন প্রত্যাশা করতে পারেন।
অপ্টিমা মানি ম্যানেজার্সের এমডি অ্যান্ড সিইও পঙ্কজ মথপাল বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের ১৫X১৫X১৫ নীতি মাথায় রাখা আবশ্যক। এই নীতির অর্থ হল, একজন বিনিয়োগকারী যদি ১৫ বছরের জন্য ১৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি প্রায় ১৫ শতাংশ রিটার্ন আশা করতে পারেন। আর মেয়াদপূর্তির পরে দেখা যাবে, সেই বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১ কোটি টাকা।
দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ আহরণের জন্য আজকাল বিনিয়োগকারীরা এসআইপি-র উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভর করছেন। ভারতের অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডসের জুলাই মাসের ডেটা থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
জুলাই মাসে মাসিক এসআইপি-র কন্ট্রিবিউশন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এর ইনফ্লো ছিল প্রায় ১৪৭৩৪ কোটি টাকারও বেশি।