বাড়ি কেনা সব মধ্যবিত্তের স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ধীরে ধীরে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। সম্পত্তির দাম ক্রমশ বাড়ছে। জেএলএল-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে নয়ডায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গড় খরচ হত, ১.২৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১.৬৮ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে দাম আরও বাড়বে।
শহুরে মধ্যবিত্ত বাড়ি কেনার জন্য ঋণ নেন। দাম যেভাবে বাড়ছে আগামী দিনে একটা ছোট ফ্ল্যাটের দামও ৪০-৪৫ লাখ টাকা দাঁড়াবে। ফলে হোম লোনের ইএমআই শোধ করতে করতে দীর্ঘ বছর লেগে যাবে। তবে এসআইপিতে বিনিয়োগ ঋণের বোঝা কমাতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে।
সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। এতে একসঙ্গে পুরো টাকা ঢালতে হয় না। বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে বাড়ি কেনার সময় টাকার অভাব হবে না। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে।
রইল পুরো হিসাব: ধরা যাক, কেউ ২০ বছর মেয়াদে ৮.৫ শতাংশ সুদের হারে ৪০ লাখ টাকার হোম লোন নিয়েছেন। এখন তাঁকে একটানা ২০ বছর প্রতি মাসে ৩৪,৭১৩ টাকা ইএমআই দিতে হবে। তার মানে ৪০ লক্ষ টাকার হোম লোনে ২০ বছরে সুদ দিতে হবে ৪৩,৩১,১০৩ টাকা।
অর্থাৎ সুদ এবং আসল মিলিয়ে ব্যাঙ্ককে ৮৩,৩১,১০৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এখন কেউ যদি এসআইপিতে ইএমআই-এর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করেন, তাহলে আর্থিক বোঝা অনেকটা কমে যাবে। ৩৪,৭১৩ টাকার ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ মানে ৮৬৭৮ টাকা।
নিজের বাড়ি হবে, ঋণও শোধ হবে: এখন যদি ৮৬৭৮ টাকার উপর ১২ শতাংশ সুদ গণনা করা হয়, তাহলে ২০ বছরে মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ২০,৮২,৪৮০ টাকা। সুদ হিসেবে হাতে আসবে ৬৫,৮৭,১২৬ টাকা। অর্থাৎ মোট রিটার্ন মিলবে ৮৬,৬৯,৬০৬ টাকা।
ঋণের মোট খরচ (সুদ এবং আসল মিলিয়ে) ছিল ৮৩,৩১,১০৩ টাকা। একই সময়ে এসআইপিতে বিনিয়োগ করে ৮৬,৬৯,৬০৬ টাকা হাতে আসছে। সোজা কথায়, হোম লোনের পুরো টাকাটাই উঠে আসছে। শুধু তাই নয়, কিছু টাকা বেঁচেও যাবে।
Комментарии