সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান বা এসডব্লিউপি হল মিউচুয়াল ফান্ডের উইথড্রয়াল পদ্ধতি। এই স্কিমে একসঙ্গে পুরো টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতি মাসে সুদ সমেত সেই টাকা রিটার্ন হিসেবে হাতে আসে। অনেকটা পেনশনের মতো। এই স্কিমে উইথড্রয়াল হার যদি বৃদ্ধির হারের চেয়ে কম হয়, তাহলে বিনিয়োগকারী আজীবন টাকা পেতে পারেন।
হাইব্রিড ফান্ড ক্যাটেগরির গ্রোথ প্ল্যানের এসডব্লিউপি গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে ভাল পারফর্ম করছে। এর মধ্যে কোয়ান্ট, আইসিআইসিআই প্রু, এইচডিএফসি মিউচুয়াল ফান্ড এবং ডিএসপি ফান্ড অন্যতম। যাইহোক, ১০ বছর আগে যদি কোনও বিনিয়োগকারী এসডব্লিউপিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতেন, তাহলে আজ কত রিটার্ন আসত?
কোয়ান্ট অ্যাবসোলিউট ফান্ড গ্রোথ, ডিরেক্ট প্ল্যান: গত ১০ বছরে ১৯.১৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মিক্সড অ্যাসেট হাইব্রিড অ্যাগ্রেসিভ ফান্ডের মোট এইউএম ১,৭৮৭.৭৭ এবং এনএভি ৪৩৪.৫১৮৪ টাকা। ১০ বছর আগে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১২০ কিস্তিতে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পেনশন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অবশিষ্ট ব্যালেন্সের পরিমাণ ৯১,০৩,৪১৮ টাকা।
আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল ইক্যুইটি এবং ঋণ তহবিল, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ: গত ১০ বছরে ১৮.৪১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউএমের পরিমাণ ৩২,৪২৯.১৭ কোটি এবং এনএভি ৩৭৩.০৩ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে মাসিক ৬০ হাজার টাকা পেনশন এবং অবশিষ্ট ব্যালেন্স ৮১,৩০,৭৫৬ টাকা।
কানাড়া রোবেকো ইক্যুইটি হাইব্রিড ফান্ড, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ অপশন: গত ১০ বছরে ১৬.৯০ শতাংশ গড় রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউমের পরিমাণ ৯৮০৮.৫৬ কোটি এবং এনএভি ৩৪৮.৯২ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১২০ কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা পেনশন দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। অবশিষ্ট ব্যালেন্সের পরিমাণ ৬৩,৬৬,৯৩৮ টাকা।
ডিএসপি ইক্যুইটি এবং বন্ড ফান্ড, ডিরেক্ট প্ল্যান, গ্রোথ: গত ১০ বছরে গড় ১৬.৮৭ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। মোট এইউএমের পরিমাণ ৮,৮০৪.২২ কোটি, এনএভি ৩২৭.০০৮ টাকা। ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ৬০ হাজার টাকা মাসিক পেনশন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অবশিষ্ট ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ৬৩,৩১,৮৫৩ টাকা।