আপনার বিনিয়োগের পোর্টফোলিও ঠিক কী ভাবে তৈরি করবেন তা ঠিক করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর ক্ষেত্রেই এটি খুবই একটি সাধারণ সমস্যা। একজন বিনিয়োগকারীর বাজারের অবস্থার উপর লক্ষ্য রেখে কিভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করা উচিত? জেনে নিন
একটি বা দুটি স্টকে বিনিয়োগ করার বিপরীতে সুবিধা অনুসারে বিভিন্ন সম্পদে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন একাধিক বিনিয়োগকারী। কারণ, বিনিয়োগের পোর্টফোলিওকে বৈচিত্রপূর্ণ করে তোলার বিষয়টি বিনিয়োগকারীর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর ফলে বিনিয়োগকারীর প্রাপ্ত মুনাফার পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অনেক সময় লার্জক্যাপ স্পেসে নিজের বিনিয়োগের পোর্টফোলিওকে বৈচিত্রপূর্ণ করে তুলতে গিয়েই তাকে তুলনামূলকভাবে জটিল করে তোলেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে সম্পূর্ণ বিষয়টি ঘেঁটে যায় এবং তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। উচ্চ রিটার্ন লাভ করার জন্য, সেই কারণে সঠিকভাবে বিনিয়োগের পোর্টফোলিও পরিকল্পনা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
লার্জক্যাপ স্পেশে অতিরিক্ত বৈচিত্রের প্রসঙ্গে যদি কথা বলা হয় সেই ক্ষেত্রে, কিভাবে বিনিয়োগকারীরা বৈচিত্রের পরিকল্পনা করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুরেশ জানিয়েছেন, “ধরা যাক আপনাকে একটি প্যাসিভ ফান্ডের ধারণায় স্টক বিক্রি করা হয়েছে যা একটি ইনডেক্স ফান্ড। এছাড়াও যদি আপনার কাছে ইতিমধ্যেই Nifty 50 বা Nifty 100 –এর একটি সংমিশ্রণ থেকে থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি সেই নির্দিষ্ট অনুপাতের সকল স্টকে প্রবেশ করে গেলেন। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু স্মার্ট বিটা ফান্ড রয়েছে যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট থিমের উপর ভিত্তি করে কয়েকটি নির্দিষ্ট কোম্পানির ধরে রাখার বিকল্প পেতে পারেন, যা উচ্চ গতিবিধি এবং মূল্যে অবস্থান করছে। 50 টি স্টকের মধ্যে আপনি 20 টি ভ্যালু স্টকও বাছাই করতে পারেন। সুতরাং, মোদ্দা কথা হল একটি বা দুটি ইনডেক্স ফান্ডের বাইরে, আপনার বাড়তি স্টক বেছে নেওয়ার প্রয়োজন নেই যদি না আপনি একটি নির্দিষ্ট বিভাগে খুব আত্মবিশ্বাসী হন। ধরা যাক, আপনি ফার্মা, ব্যাঙ্কিং কিংবা অন্য কোন সেক্টরের প্রতি উৎসাহী এবং সেখানে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে চেরি-পিকিং স্টকগুলির তুলনায় একটি নির্দিষ্ট ফান্ড বেছে নেওয়া বেশি সুবিধাজনক হতে পারে। একইসঙ্গে আপনি একটি নির্দিষ্ট খাতে বুলিশ হলেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা একটি ইতিবাচক বিষয় হয়ে উঠতে পারে।"
পোর্টফোলিও প্রসারিত করার অতিরিক্ত ঝুঁকি আছে,
একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড থাকা এবং একইসঙ্গে একটি সম্পূর্ণ স্টক পোর্টফোলিওতে থাকার মতো বিষয়গুলি আপনার বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও কে নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য করে তুলবে। যার ফলে বিপুল চেষ্টা করেও ভালো রিটার্ন পাওয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠবে। আমার পক্ষ থেকে এই ক্ষেত্রে খুব সহজ একটি পরামর্শ, বিনিয়োগের জন্য একটি উপযুক্ত ইনডেক্স ফান্ডে যান। যেমন- Nifty 100 এবং Nifty 500 । যদি আপনি সত্যিই ঝুঁকি নিয়ে এই ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে চান এবং আপনার দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, তাহলে একটি Nifty 500 –এর জন্য যান, যা অবশ্যই লার্জক্যাপে 70% বরাদ্দ থাকবে। তবে পোর্টফোলিও হাইব্রিড থাকা ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করবে। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য অস্থিরতার বিষয়ে বিবেচনা করে আমি পোর্টফোলিওতে কিছু সোনা রাখারও পরামর্শ দেব। সোনা বর্তমান বাজারের সাপেক্ষে একটি বিনিয়োগের খুবই ভালো বিকল্প।"
Comments