অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু জমি বা বাড়ি কেনার সময় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন। আসলে অনেকেই জানেন না, মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ঋণ পাওয়া যায়। মিউচুয়াল ফান্ড লিকুইডিটি হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ যখন খুশি তোলা যায়। তবে সব ফান্ডেই যে এই সুবিধা পাওয়া যায়, তা নয়।
টাকার দরকারে অনেকেই ফান্ড ভাঙাতে চান না। আর্থিক লক্ষ্য ধাক্কা খায়। এই ক্ষেত্রে ফান্ডের বিপরীতে ঋণ নেওয়া যায়। এতে ফান্ড ভাঙাতে হল না, আবার টাকার বন্দোবস্তও হল। এখন মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে কত ঋণ পাওয়া যায় দেখে নেওয়া যাক।
মিউচুয়াল ফান্ড হোল্ডিংয়ের নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়: একজন বিনিয়োগকারী কতটা ঋণ পেতে পারেন, তা নির্ভর করে তাঁর মিউচুয়াল ফান্ড হোল্ডিংয়ের উপর। যেখানে বিনিয়োগ রয়েছে এবং যেখান থেকে বিনিয়োগকারী ঋণ নিতে চান, দুটোই দেখা হবে।
ঋণের আপার লিমিট: অন্য যে কোনও ঋণের মতো মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ঋণের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক ব্যাঙ্কেই সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ঋণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা থাকে। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
সব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মিলবে না: বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই তাঁদের ঠিক করে দেওয়া মিউচুয়াল ফান্ডের নির্দিষ্ট সেটের বিপরীতেই ঋণ দেয়।
পার্সোনাল লোন বা ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ঋণে খরচ কম: মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ঋণে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ক্রেডিট কার্ড বা পার্সোনাল লোনের তুলনায় সুদের হার অনেক কম। এর কারণ মিউচুয়াল ফান্ড জামানত হিসেবে কাজ করে।
মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ঋণ নিলেো ইউনিটগুলো বাজারেই থাকে। রিটার্ন আসতে থাকে। এর বিপরীতে ঋণ নেওয়া মানে ইউনিটগুলো ব্যাঙ্কের কাছে বন্ধক রাখা। ঋণ শোধ করতে না পারলে ব্যাঙ্ক এই ইউনিটগুলির মালিক হবে। তারা সেগুলো ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেবে। তবে যতক্ষণ না বিনিয়োগকারী বা ঋনগ্রহীতা ডিফল্ট করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলি বাজারে থাকবে এবং তা থেকে রিটার্নও মিলবে।
Comments