সোনা বন্ধক রেখে লোক ঠকানোর দিন শেষ! এবার কড়া হাতে দমন করবে RBI
- www.sindhuk.com
- Apr 15, 2024
- 2 min read
অনেক সময় একসাথে অনেক টাকার প্রয়োজন হলে আমরা লোন নিয়ে থাকি। কিন্তু একসাথে খুব বেশি টাকা লোন প্রয়োজন হলে গ্যারান্টার ছাড়া লোন দিতে চায় না কোন সংস্থা। সে ক্ষেত্রে আপনি গোল্ড লোনের (RBI on Gold Loan) জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু গোল্ড লোন নেবার পর এই লোন নিয়ে নানা রকম অভিযোগ করতে দেখা গেছে গ্রাহককে। কখনো সোনা বন্ধক রাখার পর তুলনামূলক কম অর্থ গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে, আবার কখনো সোনার মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অর্থ দপ্তর ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI on Gold Loan) কঠোর নজরদারি করছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI on Gold Loan) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লোন দেবার ক্ষেত্রে অনেক রকম নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ব্যাংক অথবা এনবিএফসি গুলির বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা গেছে, বিভিন্ন সংস্থা ইচ্ছে করে সোনার দাম কম দেখিয়ে, যে পরিমাণ সোনা বন্ধক রাখছেন তার থেকে কম টাকা গ্রাহককে ঋণ হিসেবে দিচ্ছেন। বহু নামকরা গোল্ড লোন কোম্পানি এই প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত। বহু মানুষ নিজেদের সোনা বন্ধক রেখে ঠকে গেছেন। তাই ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে গ্রাহকদের সতর্ক করা হয়েছে গোল্ড লোন নেবার ব্যাপারে।
অনেক নামকরা স্বর্ণের বিনিময়ে টাকা দেওয়া কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তারা চড়া সুদে গ্রাহককে ঋণ দিয়ে থাকেন। ব্যাংক গোল্ড লোনের জন্য ৮.৭৫ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশ অবধি সুদ নিয়ে থাকে। সেখানে এনবিএফসি কোম্পানিগুলি 36 শতাংশ অবধি সুদ নেয়। প্রসেসিং ফি এর ক্ষেত্রেও দেখা গেছে পার্থক্য। ব্যাংক যেখানে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা প্রসেসিং চার্জ ধার্য করে সেখানে এনবিএফসি কোম্পানিগুলি প্রসেসিং ফি বাবদ দাবি করে বসে আরও অনেক বেশি টাকা।
কিছু ব্যবসায়ী সোনার দাম ইচ্ছে করে কমিয়ে রাখে, যাতে গ্রাহককে কম ঋণ দেওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী, স্বর্ণ বন্ধক রাখার পর সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে পাবার কথা গ্রাহকের। কিন্তু সেই নিয়ম মানছে না কোন কোম্পানি। কিছু কোম্পানি ২২ ক্যারেটের হলমার্ক যুক্ত সোনাকে ১৮ বা ২০ ক্যারেট দাবি করে গ্রাহককে বোকা বানিয়ে কম টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে। গ্রাহকদের উচিত ভাল করে যাচাই করে তবেই গোল্ড লোন নেওয়া। এমন অনেক সৎ কোম্পানি আছে যারা প্রসেসিং ফি নাম মাত্র ধার্য করে বন্ধক রাখা সোনার উপযুক্ত ক্যারেট নির্বাচন করে ক্যারেট মিটার দিয়ে। এমন কি ক্যারেট সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয় গ্রাহককে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI on Gold Loan) তরফ থেকে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানিগুলির মধ্যে তুলনা করে কোন কোম্পানি নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনার জন্য কত টাকা ঋণ দিচ্ছে? প্রসেসিং চার্জ কত রাখছে? সেই সংস্থা সুদের হার কত ধার্য করে করেছে? সবকিছু ভালোভাবে যাচাই করে তবেই এই লোনের জন্য আবেদন করা উচিত। তবে কোনো গ্রাহক যদি ঋণ নেবার আগে থেকেই তার গহনাকে হলমার্ক যুক্ত করিয়ে নিতে পারেন, তাহলে কিছু সুবিধা পাবেন সেই গ্রাহক। হলমার্ক যুক্ত সোনা ব্যবহার করে গোল্ড লোন নিলে অনেক সময় সুদের হার কিছুটা কমিয়ে দেয় বিভিন্ন কোম্পানি।

