৫০ বছরের পর অবসর গ্রহণের জন্য অর্থ জমা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা উচিত
প্রত্যেকের জীবনে অনেক লক্ষ্য থাকে। এর মধ্যে একটি হল সুন্দরভাবে অবসর গ্রহণ করা। তবে অবশ্য অবসর গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময় জীবনের বিভিন্ন দায়িত্বের কারণে আমরা সেই অর্থ জমা করতে ব্যর্থ হই। ৫০ বছরের পর, অবসর গ্রহণের সময়সীমা অনেক কাছে চলে আসে। তখন আমরা চিন্তা করি, এত কম সময়ে এত টাকা জমা করা সম্ভব কিনা? আজকের এই প্রতিবেদনে এই বড় সমস্যার সমাধান জানাচ্ছি আপনাদের।
৫০ বছর বয়সের পর সুনিশ্চিত অবসর পালন করার জন্য বেশ কিছু বিনিয়োগ টিপস সমন্ধে আপনার জানা দরকার। এর জন্য একটি সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ কৌশল প্রয়োজন। ৫০ বছরের পর বিনিয়োগের কৌশল নির্ভর করে ব্যক্তির আর্থিক পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগের লক্ষ্যের উপর। ৫০ বছরের পর একজন ব্যক্তির ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়। তাই, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানো উচিত। ৫০ বছরের পর অবসর গ্রহণের জন্য অর্থ জমা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা উচিত। বিনিয়োগের ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন ধরনের সম্পদে বিনিয়োগ করা উচিত।
৫০ বছরের পর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:
১) একক শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের পরিবর্তে, এসআইপি বা ইউনিট লিঙ্কড স্কিমের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা উচিত।এতে নিয়মিত বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল পাওয়া যায়।
২) লার্জ ক্যাপ ফান্ডে বেশি বিনিয়োগ করা উচিত। এতে ঝুঁকি কম থাকে এবং ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।
৩) ডেট ফান্ড এবং সোনায় কিছু অংশ বিনিয়োগ করা উচিত।এতে ঝুঁকি কম থাকে এবং বিনিয়োগের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
৪) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ধরে নেওয়া যাক, একজন ব্যক্তির বয়স ৫৫ বছর। তার অবসর গ্রহণের জন্য প্রয়োজন ১ কোটি টাকা। তিনি যদি প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা করে এসআইপি-তে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি ১৫ বছরে ১ কোটি টাকা জমা করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, তিনি ৫০% এসআইপি-তে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং বাকি ৫০% বিভিন্ন ধরনের ডেটা ফান্ড এবং সোনায় বিনিয়োগ করতে পারেন।