এবার থেকে করা যাবে না এই কাজ। অন্যথায় পড়তে হবে সেবির নিষেধাজ্ঞার মুখে।
ভারতের শেয়ার বাজারে(Stock Market) বড় সিদ্ধান্ত নিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)। এবার থেকে করা যাবে না এই কাজ। অন্যথায় পড়তে হবে সেবির নিষেধাজ্ঞার মুখে।
কী বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেবিভারতীয় স্টক মার্কেট নিয়ন্ত্রক সেবি স্টক মার্কেটে নেকেড শর্ট সেলিং নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। SEBI বলেছে, বাজারে প্রতিটি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের শর্ট-সেলিং করার অনুমতি দেওয়া হলেও নেকেড শর্ট-সেলিং ইনভেস্টাররা তা করতে পারবে না। SEBI জানিয়েছে, ফিউচার ট্রেডিং অর্থাৎ ফিউচার অপশনে ট্রেড করার জন্য উপলব্ধ সব স্টকগুলিতে শর্ট সেলিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে।
শর্ট-সেলিং সম্পর্কিত SEBI-র নিয়মে বলা হয়েছে, ভারতীয় সিকিউরিটিজ বাজারে নেকেড শর্ট-সেলিংকে অনুমতি দেওয়া হবে না। সব বিনিয়োগকারীদের স্কোয়াকঅফের সময় সব সময়ে সিকিউরিটিজ ডেলিভারি নিয়মে বাধ্যতামূলকভাবে পূরণ করতে হবে। ফিউচার ট্রেডিংয়ের স্টকগুলির শর্ট-সেলিংকে অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, SEBI সময়ে সময়ে এটি পর্যালোচনা করবে।
SEBI-এর মতে, নতুন নিয়মে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবার থেকে অর্ডার দেওয়ার সময় লেনদেনটি শর্ট সেলিং কিনা জানাতে হবে। খুচরো বিনিয়োগকারীদের ট্রেডিং দিন শেষ হওয়ার পরে লেনদেনের দিনেই তা প্রকাশ করতে হবে। সেবির নির্দেশ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আর ডে ট্রেডিং করতে পারবে না।
হিন্ডেনবার্গ-আদানি কাণ্ডর পরই এই সিদ্ধান্তনেকেড শর্ট সেলিংয়ে শেয়ার ক্রয় না করে বা ভবিষ্যতে শেয়ার কেনা হবে তা নিশ্চিত না করেই শেয়ারের শর্ট সেলিং করা হয়। 2023 সালের জানুয়ারিতে ভারতে শর্ট সেলিং আলোচনায় এসেছিল। শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গের একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরই আদানি গ্রুপের স্টকে মারাত্মক ধস নামে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনৈতিকভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানি। কোম্পানির ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এই কাজ করা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ নিজেই আদানি গ্রুপের স্টক শর্ট সেলিং করায় এতে দ্রুত পতন হয়।
শর্ট সেলিং কী ?শর্ট সেলিং হল শেয়ার বাজারে ট্রেড করার একটি পদ্ধতি। শর্ট সেলিংয়ের মাধ্যমে যেকোনও বিনিয়োগকারী বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করে এবং শেয়ারের দাম নিচে নেমে গেলে তা ফের কিনে নেয়। যে দামে শেয়ার বিক্রি করা হয়েছিল এবং যে কম দামে শেয়ার কেনা হয়েছিল তার মধ্যে পার্থক্য হল বিনিয়োগকারীর লাভ। বিনিয়োগকারীরা শুধুমাত্র শেয়ার কিনেই বাজারে মুনাফা করে না বরং শেয়ার না কিনে বিক্রি করেও লাভ করতে পারে এবং একে শর্ট সেলিং বলে।