আপনি যদি শেয়ার বাজার থেকে রোজগার করতে চান তাহলে টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ভাল শেয়ার কেনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার। কারণ এর সাহায্যে আপনি যে কোন শেয়ারের অতীতের দামের ভাড়া কমা দেখে ভবিষ্যতে কত দাম হতে পারে তার অনুমান করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে, দাম, পরিমাণ, ও অন্যান্য বাজারের সূচকগুলির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের চার্ট প্যাটার্ন ও সূচক ব্যবহার করা হয়। তবে এর সম্পর্কে আপনি যদি বিস্তারিত না জানেন, শুধুমাত্র প্রাথমিক বিষয়গুলি জানেন তবুও কোন সমস্যা নেই।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস (Technical Analysis)
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য টেকনিক্যাল এনালাইসিস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন ভবিষ্যতেও শেয়ারের মূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে নাকি হ্রাস পাবে। শেয়ার বাজার থেকে ধনী হতে চাইলে এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা দরকার। যেকোনো শেয়ারের টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস করলে আপনি তার মূল্যের একটি পূর্বাভাস বুঝতে পারবেন। এটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের তুলনায় স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।
আপনি যত ভালই টেকনিক্যাল এনালাইসিস করুন না কেন, ভালো কোম্পানি শেয়ার না হলে আপনি দীর্ঘ সময়ে লাভবান হতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে একটি ভাল কোম্পানি শেয়ার নির্বাচন করতে হবে, যার অবস্থা শিল্প খাত ও বাজারের অবস্থা ভালো।
Technical Analysis-এর কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়
শেয়ার বাজারে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে কোম্পানির শেয়ারের দামের গতিবিধি বিশ্লেষণ করতে পারবেন। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করুন:
শেয়ারের দামের চলমান গতি (Trend)
শেয়ারের দামের সহনশীলতা (Support & Resistance)
শেয়ারের দামের চাপ (Pressure)
শেয়ারের দামের প্যাটার্ন (Patterns)
এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে, আপনি যখন মনে করেন যে শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনা বেশি তখন শেয়ারটি কিনতে পারেন।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ভাল শেয়ার কেনার কৌশল (Technical Analysis Besic Strategy)
ট্রেন্ড ফলোইং (Trend Following): এই কৌশলে, শেয়ারের দামের চলমান গতি অনুসরণ করে শেয়ার কেনা হয়। যখন শেয়ারের দাম একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকে তখন শেয়ার কেনা হয়। ধরুন কোন একটি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ওই সময় আপনি শেয়ারটি কিনলেন এবং তারপরও সেটির দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন।
রিভার্সাল ট্রেডিং (Reversal Trading): এই কৌশলে, শেয়ারের দামের চলমান গতি বিপরীত দিকে ঘুরবে বলে মনে হলে শেয়ার কেনা হয়। যখন শেয়ারের দাম একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থেকে নিম্নমুখী প্রবণতায় ঘুরবে বলে মনে হয় তখন শেয়ার বিক্রি করা হয়। তাছাড়া এর উল্টো হতে পারে, কোন শেয়ার এর মুল্য নিম্নমুখী প্রবণতা থেকে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঘুরবে মনে হচ্ছে তখন শেয়ার কেনা হয়।
ইমপালস ট্রেডিং (Impulse Trading): এই কৌশলে, শেয়ারের দামে অল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ওঠানামা হলে শেয়ার কেনা হয়। এইতো দেখবেন নির্দিষ্ট একটি স্যারের মূল্য অল্প কম বেশি হচ্ছে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করবেন শেয়ার এর মূল্য কম হওয়ারও একটি সীমা রয়েছে এবং বাড়ারও একটি সীমা রয়েছে। এটি সনাক্ত করার পর আপনি শেয়ারের মূল্য কমার নিম্ন সীমায় থাকা কালীন কেনা হয়।
ফ্লেকচার ট্রেডিং (Flexion Trading): এই কৌশলে, শেয়ারের দামের গতি সাময়িকভাবে থেমে গেলে শেয়ার কেনা হয়। এতে বোঝা যায় বর্তমানে ওই শেয়ারের মূল্য না বেশি আছে না কম আছে।
টেকনিক্যাল এনালাইসিস করে ভাল শেয়ার কেনার জন্য নিয়মিত শেয়ারবাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের চার্ট প্যাটার্ন ও সূচক সম্পর্কে ভালভাবে ধারণা থাকা দরকার।
উদাহরণের মাধ্যমে বুঝুন
ধরুন, একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম দীর্ঘদিন ধরে একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে। এই প্রবণতা বিবেচনা করে আপনি মনে করেন যে শেয়ারের দাম আরও বাড়বে। এখন, আপনি টেকনিক্যাল এনালাইসিসের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে কোম্পানির শেয়ারের দামের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করুন।
যদি আপনি দেখেন যে শেয়ারের দাম একটি শক্তিশালী সহনশীলতা স্তরের উপরে অবস্থান করছে এবং শেয়ারের দামের চাপ ইতিবাচক দিকে রয়েছে, তাহলে আপনি শেয়ারটি কিনতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, যদি শেয়ারের দাম ১০০ টাকায় অবস্থান করছে এবং ৯০ টাকায় একটি শক্তিশালী সহনশীলতা স্তর রয়েছে, তাহলে আপনি শেয়ারটি ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে কেনার চেষ্টা করতে পারেন।
উপসংহার ~
Share Market Technical Analysis Besic Strategy: এই জীবনের মধ্যে শেয়ার বাজারের টেকনিক্যাল এনালেসির সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও টেকনিক্যাল এনালিসিসের কিছু কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
Comments