দৈনিক ২০ টাকা সঞ্চয় করে হতে পারেন কোটিপতি, কীভাবে? জেনে নিন বিশদে
- www.sindhuk.com
- Jan 5, 2024
- 2 min read
কোটিপতি হতে কে না চায়, তবে কোটিপতি হতে গেলে যা করার দরকার তা আদেও করেন কয়জন? আপনিও যদি কোটিপতি হতে চান, তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আজ যে উপায়ের কথা বলবো, সেই উপায় মেনে চললে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি। কীভাবে? জানতে হলে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন।
দৈনিক ২০ টাকা সঞ্চয় আপনাকে কোটিপতি করে তুলতে পারে। এই ২০ টাকা নিয়ে অনেকেই দিনে দুইবার চা এবং বিড়ি কিংবা সিগারেট খেয়ে উড়িয়ে দেয়। তাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তবে আজকের প্রতিবেদনটি পড়ে আজ থেকে ২০ টাকা চা সিগারেট কিংবা বিড়ির পিছনে খরচ না করে এই ২০ টাকা যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে একদিকে যেমন আপনার স্বাস্থ্য বাঁচবে, তেমনই আপনি কোটিপতি হয়ে উঠবেন।
বিনিয়োগের প্রসঙ্গ উঠলে সবার প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের নাম উঠে আসে। বর্তমান সময়ে অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। এই ফান্ডে বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারনে অনেক রিটার্ন পাওয়া যায়। এই মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান দিয়ে যদি দৈনিক ২০ টাকা অর্থাৎ মাসে ৬০০ টাকা ইনভেস্ট করনে তাহলে মেয়াদ শেষে আপনি কোটিপতি হয়ে উঠবেন। এসআইপির মাধ্যমে নূন্যতম ৫০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। এখান থেকে অনেকেই ২০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পেয়েছেন। বেশিভাগ ফান্ড থেকে নূন্যতম ১২ থেকে ১৪ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়।

এবার প্রশ্ন হলো একজন ব্যাক্তি কীভাবে দৈনিক ২০ টাকা জমিয়ে ১ কোটি টাকার মালিক হতে পারে? চলুন একটু বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। কোনো ২০ বছর বয়সী যুবক প্রতিদিন ২০ টাকা সঞ্চয় করে এবং মাসে সঞ্চয় হয় ৬০০ টাকা। এই ৬০০ টাকা SIP-তে ৩৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে গড়ে ১৫.৫ শতাংশ হারে সুদ পেলে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাবেন।
অপরদিকে ৪০ বছর ধরে দৈনিক ২০ টাকা করে সঞ্চয় করলে ১০ কোটি টাকার মালিক হতে পারেন। ধরুন কোনো যুবক ২০ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা SIP তে বিনিয়োগ করে, তাহলে ৪০ বছর পর তার বিনিয়োগের পরিমান ২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। এই বিনিয়োগের উপর ১৫ শতাংশ হারে সুদ পেলে ১.৮৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে এবং যদি সুদের হার ২০ শতাংশ করে পাওয়া যায় তাহলে মেয়াদ শেষে ১০.২১ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। আসলে SIP তে চক্রবৃদ্ধি সুদের হার পাওয়া যায়। যে কারণে কম পুঁজিতে ছোট বিনিয়োগ করলেও তা থেকে বড় পরিমান রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ আর্থিক ভাবে ঝুঁকিপূর্ন হতে পারে। তাই বিনিয়োগের আগে অবশ্যই আর্থিক উপদেষ্টার থেকে পরামর্শ করে নেবেন।