top of page

স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা’কে টাকা পাঠালেও দিতে হবে আয়কর? না হলে নোটিস দিতে পারে আয়কর দফতর?

স্বামী-স্ত্রী বা পিতা-পুত্রের মধ্যে কত নগদ লেনদেন নিরাপদ? জানা আছে কি? না হলে কিন্তু হতে পারে বিপদ।

ছেলে পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকে। তাই বাড়ি থেকে প্রতি মাসে টাকা পাঠান বাবা। অথবা বিদেশে কর্মরত স্বামী সংসার খরচের জন্য প্রতি মাসে স্ত্রীকে টাকা পাঠান। আবার হয়তো কখনও ছেলে বা মেয়ে বাইরে চাকরি করেন এবং মাসে মাসে বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে টাকা পাঠান। এই সবই খুব সাধারণ ঘটনা। হামেশাই ঘটছে। কিন্তু ঘনঘন এমন লেনদেনের কারণে আয়কর বিভাগ কি নোটিস পাঠাতে পারে? কী বলছে আয়কর আইন?

এক জন নাগরিকের প্রতিটা লেনদেনের উপর নজর রাখে আয়কর বিভাগ। সে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লেনদেন হোক কিংবা বাবা-ছেলের। কিন্তু এই নগদ লেনদেনের উপরে কি আয়কর দিতে হয়? বা আয়কর দফতর কি নোটিস পাঠাতে পারে? স্বামী-স্ত্রী বা পিতা-পুত্রের মধ্যে কত নগদ লেনদেন নিরাপদ? জানা আছে কি? না হলে কিন্তু হতে পারে বিপদ। তবে উত্তর না জানা থাকলেও চিন্তা নেই। তার হদিস রইল এই প্রতিবেদনে।

কর বিশেষজ্ঞদের মতে, কেউ যদি সংসার খরচ বাবদ প্রতি মাসে কাউকে টাকা পাঠান বা উপহার হিসেবে টাকা দেন, তা হলে আয়কর দিতে হবে না। এ ক্ষেত্রে যিনি টাকা পাচ্ছেন, তাঁর কোনও দায় নেই। দুই ক্ষেত্রেই পাঠানো টাকা যিনি প্রেরক, তাঁর আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই সেই আয়ের আয়কর দেওয়ার দায়িত্ব প্রেরকেরই। আয়কর বিভাগ থেকে এই কারণে যিনি টাকা পাচ্ছেন বা যিনি প্রাপক, তাঁকে কোনও নোটিস পাঠানো হবে না।

কিন্তু প্রাপক যদি সেই টাকা কোথাও বিনিয়োগ করেন এবং তা থেকে লাভ পান, তখন সেই লাভ তাঁর আয় হিসাবে গণ্য হবে এবং সেই আয়ের উপরে কর দিতে হবে। অন্য ভাবে বললে, বিনিয়োগ থেকে আয় ইয়ার-টু-ইয়ার ভিত্তিতে গণনা করা হয়। এবং সেটি প্রাপকের আয় হিসেবেই ধরা হবে। কারণ তিনি বিনিয়োগ করেছেন। ফলে বিনিয়োগ থেকে আয়ের উপর কর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরই।

কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। সাধারণত আয়করের ধারা ২৯৬এসএস এবং ২৯৬টি-এর আওতায় ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই শিথিলতা রয়েছে। যেমন পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রী এবং কিছু নিকটাত্মীয়ের মধ্যে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনও জরিমানা নেই। এ সব ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সহজ কথায়, প্রাপক আয়কর বিভাগ থেকে এই পরিমাণের জন্য কোনও নোটিস পাবেন না। কিন্তু, যদি প্রাপক বারবার এই টাকা কোথাও বিনিয়োগ করেন এবং তা থেকে মুনাফা পান, তা হলে তাঁকে আয়ের উপর কর দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — sindhukcom@gmail.com এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — 9832773806 আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।

Comments


bottom of page