
, যা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বেতন ও পেনশনের কাঠামো পুনর্বিবেচনা করবে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম পে কমিশন অনুমোদন করেছেন।"
সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর পে কমিশন গঠিত হয়। সপ্তম পে কমিশন ২০১৪ সালে গঠিত হয়ে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, অষ্টম পে কমিশন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভা আগেভাগেই কমিশন গঠনের অনুমোদন দিল, যাতে ২০২৭ সাল থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা যায়।
অষ্টম পে কমিশন গঠনের ফলে প্রায় ৪৯ লক্ষ কর্মচারী ও ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। সপ্তম পে কমিশনের সময় ন্যূনতম বেতন ৭,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকা এবং ন্যূনতম পেনশন ৩,৫০০ টাকা থেকে বেড়ে ৯,০০০ টাকা হয়েছিল। নতুন কমিশনের সুপারিশে ন্যূনতম বেতন ও পেনশনে আরও বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে অষ্টম পে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তারা ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৩.৬৮ করার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে ন্যূনতম বেতন ২৬,০০০ টাকা করা যায়। এছাড়া, কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
অষ্টম পে কমিশন গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তারা আশা করছেন, নতুন বেতন কাঠামো তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়ক হবে।