top of page

পয়লা বৈশাখে লক্ষ্মীলাভ! 10 টাকার লাখ লাখ শেয়ার ছাড়ছে ভোডাফোন আইডিয়া

নামতে নামতে 12 টাকায় চলে এসেছে ভোডাফোন আইডিয়ার শেয়ার। এই অবস্থায় বাজার থেকে টাকা তুলতে FPO আনছে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের এই টেলিকম কোম্পানি। 18-22 এপ্রিল পর্যন্ত খোলা

এবার শেয়ার বাজারে ফলো অন পাবলিক অফার বা FPO আনতে চলেছে টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন-আইডিয়া। এর মাধ্যমে বাজার থেকে 18,000 কোটি টাকা তুলতে চাইছে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের এই কোম্পানি। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ 18 এপ্রিল থেকে খুলবে ওই FPO সাবস্ক্রিপশন উইন্ডো। সেখানে ট্রেডিং করা যাবে চলতি মাসের 22 তারিখ পর্যন্ত।


ভোডাফোন-আইডিয়ার FPO

গত কয়েক মাসে হু হু করে নেমেছে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের এই টেলিকম সংস্থার শেয়ার। কমতে কমতে বর্তমানে এর প্রতি স্টকের দর ঠেকেছে মাত্র 12 টাকায়। এই আবহে FPO আনার কথা ঘোষণা করায় নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে ভোডাফোন-আইডিয়ার শেয়ারের দাম। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সময় যা দাঁড়িয়েছিল 12 টাকা 45 পয়সায়।


উল্লেখ্য, FPO আনার জন্য ইতিমধ্যেই এক্সচেঞ্জ ফাইলিং করেছে ভোডাফোন আইডিয়া। যার অনুমোদন মিলবে 16 এপ্রিল। টেলিকম কোম্পানিটির FPO প্রাইস ব্যান্ড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

প্রাইস ব্যান্ড


FPO-র মূল্য ও ডিসকাউন্ট বিবেচনা করার জন্য এদিন সকালে বৈঠকে বসে ভোডাফোন আইডিয়ার মূলধন কমিটি। সেখানে FPO ফ্লোর প্রাইস শেয়ার প্রতি 10 টাকা ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাপ প্রাইস রাখা হয়েছে 11 টাকা।


প্রসঙ্গত, ভোডাফোন আইডিয়ার FPO-র প্রতি লটে থাকবে 1,298টি শেয়ার। লগ্নিকারীকে ন্যূনতম একটি লট কিনতেই হবে। FPO-র জন্য বিনিয়োগকারীদের টানতে 15 এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার একটি রোড শো-র আয়োজন করছে টেলিকম সংস্থা। সেখানে এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন কোম্পানির কর্তা ব্যক্তিরা।

IPO ও FPO-র মধ্যে পার্থক্য

শেয়ার বাজারের নিয়মিত ট্রেডারদের কাছে IPO ও FPO দু’টো খুবই পরিচিত শব্দ। যখন নতুন কোন কোম্পানির স্টক মার্কেটে লিস্টিং হয়, তখন প্রাইমারি পাবলিক অফার বা IPO নিয়ে আসেন তাঁরা। শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির আগে IPO সাবস্ক্রিপশন করতে পারেন ট্রেডাররা।

IPO-র মাধ্যমে প্রথমবার নতুন স্টক বাজারে ছাড়ে কোনও কোম্পানি। তালিকাভুক্তির দিনে ঠিক হয় যার দাম। ওই দিন বেশি টাকায় IPO-র লিস্টিং হলে গ্রাহকদের বাম্পার রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অন্যদিকে স্টক মার্কেটে তালিকায় নাম রয়েছে এমন কোনও কোম্পানি আনতে পারে FPO। যার মাধ্যমে নতুন শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে টাকা তুলতে পারে ওই সংস্থা। IPO ও FPO দু’টি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কিছু দিনের জন্য খোলা হয় সাবস্ক্রিপশন উইন্ডো। প্রাইস ব্যান্ড ও লট মেনে সেখানে লগ্নি করতে হয় ট্রেডারদের।

bottom of page