সম্প্রতি গত কয়েক বছরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে SIP বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ এখানে রিস্ক কম থাকায় অনেকেই এফডি-র পাশাপাশি এসআইপি-তে টাকা রাখছেন ৷ SIP-এর ক্ষেত্রে একথা বলা হয় যত তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করা যায়, যত বেশি দিনের জন্য করা যায় ততই লাভ। কিন্তু SIP-র ধারণাই ভারতে তো জনপ্রিয় হয়েছে গত কয়েক বছরে। এই মুহূর্তে যাঁরা ৪০-এর আশপাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা কি এই বিনিয়োগে লাভ পাবেন না? দেখে নেওয়া যাক—
ধরা যাক কোনও ব্যক্তির বয়স ৩৮ বছর। তিনি ১২ বছরের জন্য বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেছেন SIP-তে। সেক্ষেত্রে নিম্নোল্লিখিত কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের কথা ধরা যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক ওই ব্যক্তির পোর্টফোলিও-তে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কী করতে হবে।
অ্যাক্সিস ইএলএসএস ট্যাক্স সেভার: ২,০০০ টাকামিরা ফোকাসড ফান্ড: ২,০০০ টাকা
আসলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তবে সামঞ্জস্য রাখা দরকার। পোর্টফোলিও রিব্যালেন্সিং কার্যকর করতে,প্রথমে নিজের আর্থিক লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
১২ বছরের জন্য SIP-তে থাকলে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্যের কথা ভাবতে হবে। যেমন অবসর পরিকল্পনা, সন্তানের উচ্চশিক্ষা, বাড়ি কেনা ইত্যাদি।এরপর দেখতে হবে কতটা ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এবং আক্রমনাত্মক ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে ইক্যুইটি-ভিত্তিক পোর্টফোলিও তৈরি করা যেতে পারে।তাই এই ব্যক্তির উচিত, বিদ্যমান পোর্টফোলিও-তে বিভিন্ন ইক্যুইটি বিভাগের স্কিম রাখা। সেটা রয়েছে দেখা যাচ্ছে।
আরও কিছু ইক্যুইটি পোর্টফোলিও-র কথা ভাবা যেতে পারে—HDFC স্মল ক্যাপ ফান্ড (বিদ্যমান)
এই বন্টন কৌশল থাকলে পোর্টফোলিও শুধুমাত্র বিভিন্ন ইক্যুইটি বিভাগ জুড়েই নয় বরং বিভিন্ন সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিতেও ছড়িয়ে যাবে। তাতে পোর্টফোলিওর স্থিতিস্থাপকতা বাড়বে। নির্দিষ্ট বাজার বিভাগ বা তহবিল ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
এরই পাশাপাশি নিয়মিত মিউচুয়াল ফান্ডের কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করা দরকার। অকার্যকর তহবিলগুলি সনাক্ত করে তা বদলে ফেলতে হবে।